আনিস সাহেব গ্রামে বসবাস করেন। তিনি ঐ গ্রামেরই একটি ক্লাবের সভাপতি। তিনি প্রায়ই ভাবেন, গ্রামের পতিত জমিগুলো কীভাবে আবাদযোগ্য করা যায়? এদিকে কৃষি বনায়ন সম্পর্কে তাঁর ভালো ধারণা আছে। তিনি ক্লাবের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে জমির মালিকদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে তিনি সকলকে নিয়ে জমিগুলোতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করেন এবং চারপাশের খালি জায়গায় নানা ধরনের ফল ও বৃক্ষজাতীয় গাছের চারা লাগান। তাছাড়া একপাশে কিছু ঘাসেরও আবাদ করেন।
উদ্দীপকে উল্লেখিত আনিস সাহের কৃষি বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনগণের সচেতনা সৃষ্টিতে আনিস সাহেবের উদ্যোগটি নিচে মূল্যায়ন করা হলো-
কৃষি বনায়ন হলো এক ধরনের ভূমি উৎপাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে সুপরিকল্পিতভাবে বনায়ন করা হয়। এ ধরনের বনায়নে একই জমিতে বৃক্ষ, ফসল, পশুপাখি ও মৎস্য উৎপাদন করা হয়। এ বনায়নে কোনো উপাদান অন্য উপাদানকে ব্যবহার করে না। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ কিন্তু ভূমির পরিমাণ অনেক কম। বিশাল জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে এ ভূমি সক্ষম নয়। এ অবস্থায় জনসাধারণের সার্বিক চাহিদা মেটানো এবং দেশের পরিবেশের 'ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশল হলো ভূমির বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানো।
ভূমির বহুমুখীকরণের একটি উপায় হলো কৃষি বনায়ন। এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে মানুষ সাধারণ কৃষি খামার, রাস্তা ও বাঁধের ধারে, বাড়ির আঙ্গিনা প্রতিষ্ঠানের চারপাশে কৃষি বনায়নের সৃষ্টি করবে এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করবে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?